শিম্পাঞ্জিদের মানবাধিকার!

প্রকাশঃ এপ্রিল ২৪, ২০১৫ সময়ঃ ১:২৮ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৭:০৯ অপরাহ্ণ

ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডট কম:

monkey মানুষের মতো শিম্পাঞ্জিদেরও, বেআইনিভাবে আটক করার বিরুদ্ধে হেবিয়াস কর্পাস পিটিশন দাখিল করার অধিকার আছে বলে রায় দিয়েছেন ‍নিউইয়র্ক সুপ্রিম কোর্টের বিচারক বারবারা জ্যাফ । সম্প্রতি এক রায়ে তিনি বলেন, কারাবন্দি মানুষ এবং গবেষণাগারে আটক শিম্পাঞ্জি, দু’জনেরই সমান অধিকার৷ জ্যাফের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে নন -হিউম্যান রাইট্স গ্রুপ (এনএইচআরপি) নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা৷

এই সংস্থাটিই দুই বছর ধরে লং আইল্যান্ডের স্টোনি ব্রুক বিশ্ববিদ্যালয়ে আটক দুটি শিম্পাঞ্জি, হারকিউলিস ও লিও-র মুক্তির জন্য আইনি লড়াই চালাচ্ছিল। তাদের দাবি ছিল, ওই দুই শিম্পাঞ্জিকে ফ্লোরিডার ফোর্ট পিয়ার্স অভয়ারণ্যে ছেড়ে দেয়া হোক। এই মামলাটি কাউন্টি আদালত খারিজ করে দিলে, সংস্থাটি উচ্চ আদালতে আপিল করে৷ পরবর্তী শুনানির দিন, ৬ মে, স্টোনি ব্রুকের এক প্রতিনিধিকে আদালতে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। তাকে প্রমাণ করতে হবে যে, শিম্পাঞ্জিদের আটক রেখে আইন লঙ্ঘন করা হয়নি। যদি সেদিন বিচারক শিম্পাঞ্জিদের মুক্তির পক্ষে রায় দেন, তা হলে সেটি ঐতিহাসিক বলে বিবেচিত তো হবেই, বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার জন্য আরো যে সব জীবজন্তুকে গবেষণাগারে আটকে রাখা হয়, পশুপ্রেমীরা তাদের মুক্তির দাবিতেও সোচ্চার হবেন।

ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কার্যনির্বাহী অধিকর্তা নাতালি প্রোসিন বলেছেন, ‘আমাদের পরিশ্রম সার্থক৷ আমরা চাই শিম্পাঞ্জির মতো সংবদনশীল প্রাণীরা স্বাধীনভাবে থাকার অধিকার পাক৷ যে দরজা আমরা খুললাম, তা আর কখনো পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না। ‘

তবে আইন বিশেষজ্ঞরা বিচারক জ্যাফের রায় নিয়ে এতটা আশাবাদী নন৷ ক্যালিফর্নিয়ার পেপারডিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের অধ্যাপক রিচার্ড কাপ বলেছেন, ‘এমনও হতে পারে যে বিচারক দু’পক্ষের বিশদ বিবরণ শোনার পরেই চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেবেন।’

প্রতিক্ষণ/এডি/পাভেল

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G